দেশকে একটি যুদ্ধাবস্থার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে : মেজর (অব.) হাফিজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, দেশকে একটি যুদ্ধাবস্থার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের গৃহভূমি হতে চলেছে। যারা ক্ষমতায় আছে, তারা গণতন্ত্র দিতে চায় না, নির্বাচনের কথা বলতে চায় না।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা তিনি।
হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের গৃহভূমি হতে চলেছে। আমরা জানি না, বাংলাদেশকে একটি যুদ্ধে লিপ্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, আরও কিছু কিছু নেতা বলেছেন, মানবিক করিডর দিতে হবে। কীসের জন্য, জনগণের জানার অধিকার নাই?
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধান বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। সামরিক বাহিনীর প্রধান চান নির্বাচন, আর যারা ক্ষমতায় আছে— সিভিল একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তারা গণতন্ত্র দিতে চায় না, নির্বাচনের কথা বলতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার করার একমাত্র অধিকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের, এখানে একটা গোষ্ঠী এসে বলবে এই সংস্কার হবে, ছাত্ররা এসে বলবে ওই সংস্কার হবে, এভাবে কি বাংলাদেশ চলবে? এ জন্যই কি আমরা যুদ্ধ করেছিলাম?
হাফিজ উদ্দিন বলেন, দুঃখ লাগে, এই যে একটা সরকার এখানে আছে, তাদের সবাই শিক্ষিত ব্যক্তি। তাদের মধ্যে কেবল একজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। বাকি যারা আছেন, যাদেরকে টেলিভিশনে দেখি, দেশের জন্য তাদের কী অবদান আছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে বারবার সংগ্রাম হয়েছে, কিন্তু এদের কাউকে তো আমরা কোনো সংগ্রামে দেখিনি। একটি তথাকথিত শিক্ষিত গোষ্ঠী বারবার জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার ভিডিও বক্তব্য (ধারণকৃত) অনুষ্ঠানে প্রচার করা হয়। প্রধান আলোচক হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। সভার সঞ্চালক ছিলেন বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন।
এসআইআর
সোর্স: dhakapost.com