সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ বোমা ফেলেছে ইসরাইল

<![CDATA[

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমায় যে পরিমাণ বোমা ফেলা হয়েছিল, তার ছয় গুণ বেশি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে গাজায়। গত ২১ মাসে নিক্ষেপ করা বোমার পরিমাণ ৮৫ হাজার টন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রানচেসকা আলবানিজ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, এসব কোম্পানির সহায়তায় গত ২১ মাসে গাজায় ৮৫ হাজার টন বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরাইল। এই পরিমাণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমায় ফেলা বোমার চেয়ে ছয় গুণ বেশি। গাজায় আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেন তিনি।

 

আলবানিজ ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনকে একটি মৃত্যুফাঁদ হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন। বলেন, ক্ষুধার্ত, বোমাবর্ষণকারী এবং ক্ষীণকায় জনগোষ্ঠীকে হত্যা বা পালিয়ে যেতে বাধ্য করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ইরানে হামলার পর ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে অব্যবহৃত বোমা ফেলা হতো গাজায়!

 

যুদ্ধবিরতি নিয়ে জোর আলোচনার মধ্যেও গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। আল জাজিরা বলছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। এতে হতাহত হন বেশ কয়েকজন। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হামলা চলে দক্ষিণাঞ্চলের শহর খান ইউনিসেও।

 

এদিকে, গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য মানুষকে অনাহারে রাখাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইল। এমন মন্তব্যই করেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

 

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে

 

সংস্থাটির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, বোমাবর্ষণ, বাস্তুচ্যুতি, খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকট — সব মিলিয়ে অঞ্চলটিতে মানবিক বিপর্যয় এখন চরমে। সহায়তা নিতে গিয়ে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছেন। অনেক ক্ষুধার্ত মানুষ ইসরাইল পরিচালিত হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন।

]]>

সোর্স: somoynews.tv

Related Articles

Back to top button