তুষের মধ্যে মিলল দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য

<![CDATA[
ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডির নৌকার পাটাতনের নিচে ধানের তুষ ও চিনা বাদামের বস্তার নিচ থেকে বেরিয়ে এলো শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পার করে নিয়ে আসা ফুচকা ও জিরা, গুড়াদুধসহ নানা ভারতীয় পণ্য।
বুধবার (২৮ মে) সকালে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই নৌকা থেকে দেড় কোটি টাকার মূল্যের ভারতীয় পণ্যসামগ্রী আটক করে।
যাদুকাটা, রক্তি, সুরমা নদীর নৌরুট ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য ভৈরবে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল চোরাকারবারিরা। তুষ ও দেশীয় চিনা বাদামের বস্তা নিচে পাঁচ শতাধিক প্লাস্টিক ও তুষের বস্তায় আড়াল করে রাখা হয় ভারতীয়পণ্য। খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি চোরাচালানের নৌকা। বিজিবি সদস্যরা পুরো দুইদিন গোয়েন্দা নজরদারি করে জামালগঞ্জের নিয়ামতপুর নৌকাঘাট থেকে অবৈধপণ্যবাহী নৌকাটি আটক করে। এসময় মাঝিরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আটকা অর্ধশত ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক
প্লাস্টিকের পোল্ট্রি ফিড তুষ ও বাদামের বস্তার নিচে লুকিয়ে রাখা ৩৪ হাজার ৯৩০ কেজি ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের ফুচকা, ২ হাজার ৩৬০ কেজি জিরা, ৫৮৭ কেজি ভারতীয় গুড়া দুধের বস্তা। নৌকা ফুচকা গুড়াদুধ চিনাবাদাম তুষ সহ আটককৃত পণ্যের বাজারদর দেড় কোটি টাকা।
অধিনায়ক ২৮ বিজিবির অধিনায়ক সুনামগঞ্জ লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া কাদির জানান, আসন্ন ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে চোরাকারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চোরাকারবারিদের পাশাপাশি বিজিবি সড়ক পথ ও নৌপথে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। চোরাকারবারিরা বিভিন্ন কৌশলে পণ্যপাচারের চেষ্টা করে। কখনও তুষের বস্তা কখনও বাদামের বস্তার নিচে লুকিয়ে পণ্য চোরাচালানের চেষ্টা করছে। তবে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা পণ্য পাচার করতে পারছে না।
]]>
সোর্স: somoynews.tv