সর্বশেষ সংবাদ

‘তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় প্রমাণিত হলো হাসিনার আমলের সকল মামলা মিথ্যা’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় প্রমাণিত হয়েছে হাসিনার আমলের সকল মামলা মিথ্যা। মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী বিশিষ্ট কার্ডিওলোজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমান বুধবার (২৮ মে) আদালতে খালাস পেয়েছেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে দায়েরকৃত সকল মামলা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যোপ্রণোদিত।

সাদা দল নেতৃবৃন্দ বলেন, জিয়া পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথাকথিত অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুধু তাই নয় মামলা দায়েরের পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এমনকি এই মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রায় দেন ঢাকা মহানগরের সিনিয়র বিশেষ জজ। রায়ে দুটি ধারায় তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড (৬ ও ৩ বছর, একসঙ্গে চলবে) এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, রায়ের আগে এই মামলায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনামলের আদালত দুই মাসের ভেতর মাত্র ২১ দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়। এমনকি রাতের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে দুদকের দায়েরকৃত মামলাটি ছিল মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যা তারেক রহমানকে তার স্ত্রীকে খালাস দেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।

তারা আরও বলেন, বিবাদী পক্ষ আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন, যা গত ১৩ মে মঞ্জুর করেন আদালত। বিলম্ব মার্জনার আবেদন মঞ্জুরের পর বিবাদী আপিল করেন এবং জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ১৪ মে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জামিন মঞ্জুর করেন। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে বুধবার রায় দিলেন হাইকোর্ট। এমনকি আদালত বলেছেন যে, তারেক রহমান ও অন্য বিবাদীর ক্ষেত্রে এই মামলায় পলিটিক্যাল পারসিকিউশন (রাজনৈতিক নিপীড়ন) এবং ম্যালিশাস প্রসিকিউশন (দুরভিসন্ধিমূলক মামলা) করা হয়েছে। এজন্য বিবাদী পক্ষকে তাদের মর্যাদা এবং সুনাম ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

ঢাবি সাদা দলের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল মামলা থেকে আদালত কর্তৃক খালাস পাওয়ায় আমরা শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত আনন্দিত এবং মহান আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। আমরা প্রত্যাশা করি তারেক রহমান সুস্থভাবে অতি শিগিগরই বীরের মর্যাদা নিয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করে জনগণের সেবায় আবারও নিজেকে নিয়োজিত করবেন। 

সোর্স: kalbela.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button