সর্বশেষ সংবাদ

ভিআইপি রুম না পাওয়ায় বার ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

রাজধানীর মহাখালীর জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা মনির হোসেনের বিরুদ্ধে। বার কর্তৃপক্ষ বলছে, ভিআইপি রুম না দেওয়ায় অনুসারীদের নিয়ে এসে তাণ্ডব চালায় মনির। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই বারে ভাঙচুর চালানোর সময় তারা নারীদের লাঞ্ছিত করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বারের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে ঢাকার বনানী থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। এতে আরও ২৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, শাড়ি পরা এক নারী হোটেলটির সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নিচে নামছেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীর পথ রোধ করে শরীরে আঘাত করছেন। তার হামলায় ওই নারী মেঝেতে পড়ে যান।

এদিকে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর যুবদলের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মনির হোসেনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি এবং প্রাথমিক সদস্যপদও প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, দল থেকে বহিষ্কৃত কারও আচরণের দায় দল নেবে না। সব নেতাকর্মীকে তার সঙ্গে দলীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। মনিরের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে যুবদল।

এজাহারে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে মনিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল রেস্টুরেন্টে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। তারা টিভি, চেয়ার, টেবিল, সিসিটিভি ক্যামেরা ও মনিটর, ল্যাপটপ, গ্লাস ও অন্যান্য সামগ্রী ভেঙে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এছাড়া কাউন্টার থেকে তারা নগদ ৭০ হাজার টাকা এবং স্টোর থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকার বিদেশি মদ লুট করে নিয়ে যায়। চলে যাওয়ার সময় পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়।

মামলার বাদী আবু বকর বলেন, ঘটনার আগের দিন অভিযুক্ত মনির রেস্টুরেন্টে এসে নিজেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দিয়ে ভিআইপি রুম দাবি করেন। সে সময় কোনো রুম খালি না থাকায়, তাকে সাধারণ টেবিলে বসানো হয়। খাবার শেষে ছাড় দিয়ে বিল নেওয়া হলেও, তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং হুমকি দিয়ে রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার বনানী থানার এসআই এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে কাজ চলছে। এ ঘটনায় নারীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগও পেয়েছি, তদন্ত চলছে।

সোর্স: bd24live.com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button